শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৪৫ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : জাতীয়পার্টির (কাজী জাফর) নেতারা বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য, প্রচণ্ড উচ্চাভিলাষী, জনস্বার্থবিরোধী ও স্বয়ম্ভর জাতীয় অর্থনীতি বিকাশের পরিপন্থী এক অগ্রহনযোগ্য অর্থনৈতিক দলিল। আজ শুক্রবার পার্টির নির্বাহী কমিটির এক জরুরি সভায় নেতারা একথা বলেন। গুলশান কার্যালয়ে পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. টি. আই. এম ফজলে রাব্বি চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান, নওয়াব আলী আব্বাস খান, জাফরউল্লাহ খান চৌধুরী, আলহাজ মো: সেলিম মাস্টার, ভাইস চেয়ারম্যান মো: শরীফ মিয়া, মো: মহসীন, মো: বাচ্চু মিয়া, মো: সিরাজুল হক প্রমুখ। সভায় বলা হয়, তিন লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেটে প্রায় এক লাখ হাজার কোটি টাকাই ঘাটতি। এই বিশাল ঘাটতি পূরণ করে মাথাভারী এ বাজেট বাস্তবায়ন করা একটি দিবাস্বপ্নে পর্যবসিত হতে বাধ্য। সবচাইতে বড় কথা, কাদের স্বার্থে এ বিশাল বাজেটের বোঝা জনগনের ন্যুব্জ স্কন্ধে চাপিয়ে দেবার পাঁয়তারা, তা ভেবে দেখার বিষয়। তারা আরো বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে একদিকে জনগনের মাথার উপরে বিভিন্ন ধরনের করের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে, অপরদিকে বিদেশ থেকে আমদানীকৃত নেহাৎ মামুলী দ্রব্যাদ্রি যার উপরে অতীতে চড়া কর ধার্য্য ছিল সেগুলোর কর হ্রাস ও রেয়াত দেয়া হয়েছে। এর ফলে বিদেশী পণ্যের অবাধ মৃগয়া ক্ষেত্রে পরিণত হবে আমাদের অভ্যন্তরীণ বাজার। জাতীয় শিল্পের বিকাশের স্বার্থে প্রয়োজনীয় সংরক্ষণ সুবিধা ও প্রনোদনার কোনো আলামত বাজেটে নেই। বস্তুতপক্ষে, তথাকথিত সম্পূরক অর্থনীতির নামে কার্যত পরনির্ভরশীল অর্থনীতি পাকাপোক্ত করনের নীল নকসার অংশ এ বাজেট। নেতারা বলেন, বাজেট প্রস্তাবে নয়টি মেগা প্রজেক্টের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ গোটা বাজেটের সিংহভাগ। অথচ, মাত্র দু’একটি প্রজেক্ট ছাড়া বাকীগুলোর গুরুত্ব ও অগ্রাধিকারের ন্যায্যতা দারুন প্রশ্নবিদ্ধ। অতীতে এধরনের প্রজেক্টের অর্থের সঠিক ব্যবহারের স্বচ্ছতা নিয়ে দেশবাসীর মনে অনেক ক্ষোভ জমা আছে। সভায় আসন্ন রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং সরকারি নজরদারী বৃদ্ধির মাধ্যমে অনিয়ন্ত্রিত বাজার দর অবিলম্বে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনার জোর দাবি জানানো হয়।